ইসলামিক দর্শনীয় স্থান, ট্রাভেল এন্ড ট্যুর

রহমতের পাহাড় আরাফাত পর্বত

আল্লাহর আদেশ অমান্য করে গন্ধম ফল খাওয়ায় প্রথম মানব মানবী আদম ও হাওয়াকে স্বর্গোদ্যান থেকে নামিয়ে দেওয়া হলো পৃথিবীতে। আদমকে সরনদীপে (শ্রীলংকা) ও হাওয়াকে জেদ্দায় (সঊদী আরব)। অবশ্য বিষয়টা নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। দীর্ঘ সময় পর তাদের দু’জনের দেখা হয়েছিলো আরাফাতের পাহাড়ে।

আরাফাতের পাহাড় সৌদি আরবের মক্কার পূর্ব দিকে আরাফাতে অবস্থিত একটি পাহাড়। একে জাবালে রহমত (রহমতের পাহাড়) বলেও উল্লেখ করা হয়। রাসূল মুহাম্মদ (সা) এখানে দাঁড়িয়ে হজযাত্রীদের সামনে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। পাহাড়টি গ্রানাইটে গঠিত এবং উচ্চতা প্রায় ৭০ মি।

এই পাহাড়ের চতুর্দিকে দৈর্ঘ্যে প্রস্থে দুই মাইল। এই বিরাট সমতল ময়দানের নাম আরাফাত। ময়দানের তিন দিক পাহাড়বেষ্টিত। ময়দানের দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে মক্কা হাদা তায়েফ রিং রোড। এই সড়কের দক্ষিণ পাশে আবেদি উপত্যকায় মক্কার উম্মুল কুরআ বিশ্ববিদ্যালয়। উত্তরে সাদ পাহাড়। সেখান থেকে আরাফাত সীমান্ত পশ্চিমে প্রায় এক কিলোমিটার। সেখান থেকে দক্ষিণে মসজিদে নামিরায় গিয়ে আরাফাত সীমান্ত শেষ হয়েছে।

ময়দানের অনেকাংশ জুড়ে রয়েছে অনেকগুলো নিমগাছ। এই সব নিমের চারা নাকি বাংলাদেশ থেকে নিয়ে ওখানে রোপণ করা হয়েছে। নিমগাছ রোপণের পর প্রতিদিন গাছের গোড়ায় পানি দেওয়া হয়। পানি দেওয়ার কাজ করেন বাংলাদেশি শ্রমিকেরা। কিছু দূর পর পর পানির ট্যাপ বসানো আছে। শ্রমিকেরা তাতে পাইপ লাগিয়ে গাছে পানি দেন, গাছের পরিচর্যা করেন।……….জাবাল মানে পাহাড়। জাবালে রহমত হলো, রহমতের পাহাড়। এই পাহাড়ে একটি উঁচু পিলার আছে। একে কেউ কেউ দোয়ার পাহাড়ও বলেন। পিলারের কাছে যাওয়ার জন্য পাহাড়ের গায়ে সিঁড়ি করা আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *